স্বদেশ ডেস্ক:
‘ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ অভিযানের মূল লক্ষ্য দনবাসের জনগণকে ‘গণহত্যা’ থেকে বাঁচানো। স্বাধীন দোনেৎস পিপলস রিপাবলিক ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক সরকার তাদের জনগণকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ও কট্টর জাতীয়তাবাদীদের গণহত্যার হাত থেকে রক্ষায় রাশিয়ার কাছে সাহায্যের আবেদন করে। এরপরই সেখানে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া।’ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গতকাল শুক্রবার মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে দেওয়া এক ভাষণে এসব কথা বলেন। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা স্পুটনিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
পুতিন বলেন, ‘ ২০১৪ সালে কিয়েভে অভ্যুত্থানের বিরোধীতার শাস্তিস্বরূপ দনবাস অঞ্চলে জনগণের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেন ইউক্রেনের সেনারা। তাৎক্ষণিক এসব মানুষকে অবরুদ্ধ করা হয়। তাদের ওপর গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা চালাতে থাকে। এটাই গণহত্যা। ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলে জেলেনস্কি সরকারের গণহত্যা বন্ধ করার লক্ষ্যে ইউক্রেনকে নিরস্ত্র ও নাৎজিমুক্ত করতেই মূলত দেশটিতে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালানো হচ্ছে। বক্তব্যে এমনটাই দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
দনবাসের দুই স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে ব্যাপক গোলাবর্ষণের পর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর নির্দেশ দেন পুতিন। এর কয়েকদিন আগে দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া।
ইউক্রেনের ওই অঞ্চলে গণহত্যার জন্য দায়ী সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা হবে জানিয়ে পুতিন বলেন, ‘সামরিক অভিযানই সেখানে গণহত্যা বন্ধ করার একমাত্র উপায়, সেই লক্ষ্যে রাশিয়ার বাহিনী শুধু ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে বলে রুশ প্রেসিডেন্ট দাবি করেন।’